ADB:
Android Debug Bridge. এটা হচ্ছে একটা কমান্ড লাইন টুল যা আপনাকে Android Emulator বা Android Device এর সাথে আপনার ডেভেলপমেন্ট মেশিনের (যে প্ল্যাটফর্মে ডেভেলপমেন্ট করবেন, যেমনঃ উইন্ডোজ, লিনাক্স) সংযোগ রক্ষা করবে। এটা Client, Server, Daemon নিয়ে গঠিত। লিঙ্কে বিস্তারিত বলা আছে।
Apps2SD:
ডিভাইসের ফোন মেমরী থেকে micro sd-card এ application এবং cache সংরক্ষণের পদ্ধতি।
Android:
মোবাইল ডিভাইসের জন্য লিনাক্স বেজড অপারেটিং সিস্টেম। এর ভার্সনগুলোর নাম ইংরেজি বর্ণমালার ক্রম অনুসারে দেওয়া হয়েছেঃ Donut, Eclair, Froyo, Gingerbread, Honeycomb, Ice Cream Sandwich, Jelly Bean.
AMOLDED:
Active-Matrix Organic Light-Emitting Diode)
APK:
Andorid Application Package File. প্রত্যেক এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন একটা একক ফাইলে কম্পাইল্ড এবং প্যাকেজ করা হয় যার মধ্যে এপ্লিকেশন কোড (.dex), রিসোর্স, এসেট এবং ম্যানিফেস্ট ফাইল থাকে। এপ্লিকেশনের নাম যেকোন কিছু হতে পারে, তবে এক্সটেনশন হতে হবে .apk । এই এক্সটেনশনের ফাইল ছাড়া অন্যকোন এক্সটেনশনের ফাইল এন্ড্রয়েডে ইনস্টল করা যাবে না।
Alpha:
সফটওয়্যার ডেভেলপের প্রথম ধাপ হচ্ছে আলফা (Alpha)। এই ধাপে ডেভেলপাররা তাদের সফটওয়্যার/এপ্লিকেশন white box technique দ্বারা টেস্ট করেন। পরে আরও টেস্ট করা হয় black box বা gray box technique ব্যবহার করে। কোন প্রতিষ্ঠানে ব্ল্যাক বক্স টেস্টিং শুরু করাটা Alpha Release নামে পরিচিত।
Alpha Software আনস্টেবল হতে পারে, ক্রাশ করতে পারে, হতে পারে ডাটা লস। তবে অনেক সময় raw source code হিসেবে আলফা ভার্সন ছাড়া হয়, যাতে ওপেন সোর্স ডেভেলপাররা বাগ খুঁজে বের করতে পারেন। এটা ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে ভবিষ্যৎ ডেভেলপমেন্টে সাহায্য করে।
Alpha Phase সাধারণত ফিচার ফ্রিজের মাধ্যমে শেষ হয়। অর্থাৎ এতে আর কোন নতুন ফিচার যোগ করা হবে না। এই পর্যায়ে সফটওয়্যারকে “Feature Complete” বলা হয়।
Boot Animation:
ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম বুট হওয়ার সময় যে গ্রাফিকাল রিপ্রেজেন্টেশন দেখা যায় সেটাই বুট এনিমেশন।
Bootloader:
অপারেটিং সিস্টেম চালু হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডাটা আর প্রোগ্রামগুলো চালু করার জন্য এই ছোট্ট প্রোগ্রামটি ব্যবহৃত হয়।
রুটিং/হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে এই প্রোগ্রামটি বাধা দেয়। তাই রুট করার আগে অনেক ডিভাইসে ম্যানুফ্যাকচারারের দেওয়া বুটলোডার আনলক করতে হয়।
Bootloop:
যখন আপনার ডিভাইস বুটস্ক্রিনে আটকে যাবে, বারে বারে বুট হবে কিন্তু মেইন ওএস (OS) স্টার্ট হবে না তখন সেটা বুটলুপ।
Beta:
এটা আলফা (Alpha) ধাপের পরের স্টেজ। যখন সফটওয়্যারের ফিচার কমপ্লিট হয়ে যায় তখন এই ধাপ শুরু হয়। এই ভার্সনে সধারনত আলফা ভার্সনের তুলনায় অনেক বেশি বাগ থাকে। তার সাথে স্পিড ও পারফর্ম্যান্স ইস্যুও থাকে। বেটা ভার্সন ডেভেলপ করার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইউজারের জন্য স্টেবল ভার্সন গড়ে তোলা। অনেক সময় একে “Usability Testing” ও বলে। বেটা ভার্সন ছাড়াকে বলে “Beta Release”। মূলত এই সময়েই ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের বাইরে সফটওয়্যারটি পাওয়া যায়।
বেটা ভার্সন ইউজারদেরকে বলে “Beta Testers”। এরা ফ্রিতে সফটওয়্যারটি টেস্ট করে দেয়। বিনিময়ে হয়ত ফাইনাল ভার্সনটি তারা ফ্রিতে বা কম মূল্যে পায়।
বেটা ভার্সনকে ডেমো ভার্সন বা প্রোটোটাইপ ও বলা হয়।
CPU:
Central Processing Unit. এটা ডিভাইসের কাজ করার জন্য যা যা ম্যাথমেটিকাল ফর্মুলার দরকার হয় সেগুলো হ্যান্ডল করে।
Custom:
ইন্ডিপেনডেন্ট ডেভেলপাররা অনেক সময় তাদের ডিভাইসটি যেসব এডিটিং অপশন থাকে সেগুলো বাদে নিজেদের মত কাস্টমাইজ করে নিতে পছন্দ করেন। এই নতুন ডেভেলপমেন্ট তারা Custom ROM হিসেবে রিলিজ করেন অন্যদের জন্য।
CDMA:
মোবাইল ফোন স্ট্যাডার্ড, যেমনঃ cdmaOne, CDMA2000 (cdmaOne এর 3G evolution),WCDMA (GSM carriers যে CDMA স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করে ) যাদেরকে একত্রে অনেক সময় CDMA বলা হয়।
CIQ:
Carrier IQ – একটা প্রি-ইন্সটলড ডিফল্ট সফটওয়্যার যেটা ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে আর পোর্টেবল ডিভাইসের সমস্ত কার্যকলাপ রেকর্ড করে। এটাকে এক্সপ্লয়েট করে ইনফরমেশন চুরি করা সম্ভব।
Dual Core:
Dual Core Processor হচ্ছে একটা সিপিউ (CPU) যার একটা ইউনিটে নিজস্ব cache সহ দুইটা কোর আছে। এটাকে একই ইউনিটে দুটো মাইক্রো-প্রসেসর বলা যায়। এছাড়া Quad Core( চারটা কোর), Hexa Core ( ছয়টা কোর), Octa Core ( আটটা কোর) প্রসেসরও আছে। যত বেশি কোর তত বেশি স্পিড।
Dalvik:
এন্ড্রয়েড প্লাটফর্মের ভার্চুয়াল মেশিন। Dalvik VM হচ্ছে interpreter-only ভার্চুয়াল মেশিন যেটা Dalvik Executable (.dex) ফরম্যাটে ফাইলগুলো চালায়। এই ফরম্যাটটি কার্যকর স্টোরেজ আর Memory-Mappable Execution এর জন্য অপ্টিমাইজ করা।
Dalvik Cache:
এন্ড্রয়েড ডিভাইসের এপ্লিকেশনগুলোর বাইটকোড (bytecode) গুলো রাখার জন্য অপটিমাইজ করা Writtable Cache । আলাদা cache এপ্লিকেশঙ্গুলো দ্রুত লোড করে আর ভালোভাবে পারফর্ম করতে সাহায্য করে।
FC/FC’s:
Force Close
Fastboot:
কোন কম্পিউটার থেকে ইউএসবি ( USB) কানেকশনের মাধ্যমে এন্ড্রয়েড ডিভাইসের ফ্ল্যাশ ফাইল মডিফাই করার জন্য একটা Diagnostic Protocol. এটা Android Debug Library এর একটা অংশ। Fastboot Protocol ব্যবহার করার জন্য প্রথমে ডিভাইসকে Bootloader মোডে চালু করতে হয়, এরপর কম্পিউটার থেকে কমান্ড পাঠানো হয়। সাধারণত নিচের কমান্ড গুলো ব্যবহৃত হয় বেশিঃ
flash- হোস্ট কম্পিউটারে থাকা কোন বাইনারি ইমেজ দিয়ে ডিভাইসের ফ্ল্যাশ পার্টিশনের কোন অংশ ওভাররাইট করা।
erase- কোন ফ্ল্যাশ পার্টিশন মুছে ফেলা।
reboot- ডিভাইস মেইন অপারেটিং সিস্টেম বা সিস্টেম রিকভারি মোডে রিস্টার্ট হওয়া।
devices- হোস্ট কম্পিউটারের সাথে যুক্ত সকল ডিভাইসের লিস্ট দেখা।
Flashing:
কম্পিউটার থেকে বা ডিভাইসের রিকভারি মোডে কোন ফাইল ইনস্টল করা।
HDMI:
High-Definition Multimedia Interface। এনক্রিপ্টেড আনকম্প্রেসড ডিজিটাল ডাটা আদান-প্রদান করার জন্য audio/video ইন্টারফেস।
Hboot:
এটা ফোনের হার্ডওয়্যার চেক করে সফটওয়্যার চালু করে। এছাড়া অফিসিয়াল সফটওয়্যার আপডেট ইনস্টল করতেও এটা কাজে লাগে। একে কম্পিউটারের BIOS এর সাথে তুলনা করা যায়।
HAVS:
সিপিউ লোড এডজাস্ট করার জন্য কন্ট্রোল সিস্টেম।
JIT:
Just-in-Time Compiler
Kang:
অন্যের লেখা কোড মডিফাই করে কেউ যখন রিলিজ করে তখন সেটাকে Kang Release বলে।
Kernel:
ফোনের হার্ডওয়্যার এর সাথে সফটওয়্যার এর সংযোগ রক্ষা করে যে কোড তাকে কার্নেল বলে। কাস্টম কার্নেল ব্যবহারের মাধ্যমে ফোনের হার্ডওয়্যার আরো গভীরভাবে একসেস করা যায়। কাস্টম রম ইনস্টল করলে একটা কাস্টম কার্নেল ইনস্টল হয়ে যায়, তবে আলাদা ভাবে ইনস্টল করাও সম্ভব।
Launcher:
এন্ড্রয়েড ইউজার ইন্টারফেস বা হোম স্ক্রিনের যে অংশ বিভিন্ন এপ্লিকেশন স্টার্ট করতে সাহায্য করে তাকে লঞ্চার বলে। ফোনে একটা লঞ্চার থাকলেও প্লে-স্টোর থেকে ফ্রি/পেইড লঞ্চারও নামানো যায়।
ধন্যবাদ, ভবিষ্যতে এই পোস্ট টি পুনরায় আরও সমৃদ্ধ ভাবে করা হবে।

Post a Comment